ভারতবর্ষের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পালনাড়ু জেলায় কৃষ্ণা নদীর তীরে অমরাবতী গ্রাম অবস্থিত এবং এখানে একটি প্রাচীন বৌদ্ধ স্তূপের অবশেষ লক্ষ্য করা যা বর্তমানে এই গ্রামের নামেই পরিচিত। ঐতিহাসিকদের মতে অমরাবতী স্তূপের নির্মাণকার্য মৌর্য যুগে সম্রাট অশোকের আমলে শুরু হয় এবং পরবর্তী সময়ে সাতবাহন শাসকদের আমলে এই স্তূপের রূপ পরিবর্ধিত ভাবে নির্মিত হয়েছিল। রমাপ্রসাদ চন্দ ১৯২৫ সালে ‘এপিগ্রাফিয়া ইন্ডিয়া’তে তাঁর প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এই প্রত্নক্ষেত্র উৎখননের সময় প্রাপ্ত ৫৮টি লেখের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তারিখ বিহীন উৎসর্গকৃত এই লেখগুলির অক্ষরের ধরন ও ভাষার বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই স্তূপের সময়কাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতক পর্যন্ত। বিপুল সংখ্যক মৌর্য আমলের রূপোর ছাপাঙ্কিত মুদ্রা ও একটি ভগ্ন স্তম্ভলেখ অমরাবতী থেকে পাওয়া গিয়েছিল এবং এর থেকে ঐতিহাসিকরা মনে করেন এই স্তূপের নির্মাণ মৌর্য যুগের গোড়ার দিকে হয়েছিল । তবে নিম্ন কৃষ্ণা উপত্যকায় মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর এই অঞ্চল সদ বংশীয় শাসকদের অধীনে আসে, বিভিন্ন লেখ ও মুদ্রা থেকে এই বংশের পাঁচজন...